বাগবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্ৰস্থদের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন মুখ‍্যমন্ত্রী

14th January 2021 2:07 pm কলকাতা
বাগবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্ৰস্থদের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন মুখ‍্যমন্ত্রী


নিজস্ব সংবাদদাতা ( কলকাতা ) : বাগবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ভষ্মীভূত বস্তির বাসিন্দাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ধ্বংসস্তূপ এলাকা পরিদর্শনে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলেন ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের সঙ্গে। তিনি বলেন, কোন চিন্তা নেই, সরকার পাশে আছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের বাড়ি তৈরি করে দেওয়া থেকে শুরু করে সবকিছুই সরকার করে দেবে বলে আশ্বাস দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বিষয়ে মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষকে দায়িত্ব দেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন আপাতত তাদের অস্থায়ী জায়গায় রাখার ব্যবস্থা করা হবে। শীঘ্রই তাদের বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। জামাকাপড়, শীতের বস্ত্রসহ ব্যবহৃত জিনিসপত্র সরকার দেবে বলে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন । : হারিয়ে গিয়েছে মূল্যবান নথি। পুড়ে ছাই নগদ টাকা। ধ্বংসস্তূপ থেকে শেষ সম্বল উদ্ধারের চেষ্টা। বাগবাজারে গতরাতের বিধ্বংসী আগুনে নিঃস্ব প্রায় ৭০০ জন ঝুপড়িবাসী। চারদিকে শুধুই হাহাকার!১০০টির বেশি ঘর আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে। গতকাল রাতে নিরাশ্রয়দের কোনও রকমে মাথা গোঁজার ঠাঁই মিলেছে বাগবাজার মহিলা কলেজ ও কমিউনিটি হলে।আজ ভোরেও দেখা যায় ঘটনাস্থলে বিভিন্ন জায়গা থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। তার মধ্যেই ঝুপড়িবাসীরা খুঁজতে শুরু করেন আগুনের গ্রাস থেকে মূল্যবান কিছু বেঁচে আছে কি না।এদিকে, বাগবাজারে বিধ্বংসী আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত উদ্বোধন পত্রিকার কার্যালয়। পুড়ে গিয়েছে পত্রিকা কার্যালয়ের বেশ কিছু দরজা-জানলা। ১২২ বছরের পুরনো পত্রিকা অফিসের দুর্মূল্য নথিপত্র পুড়ে ছাই।





Others News

পর্ণশ্রীতে মা ও ছেলের নৃশংস খুনের কিনারা পুলিশের

পর্ণশ্রীতে মা ও ছেলের নৃশংস খুনের কিনারা পুলিশের


নিজস্ব সংবাদদাতা ( কলকাতা ) :  পর্ণশ্রীতে মা-ছেলেকে নৃশংভাবে খুনের কিনারা। ধৃতদের একজন সন্দীপ দাস(৩২) ও অন্যজন সঞ্জয় দাস(৪৪)। বাড়ি মহেশতলা থানার শ্যামপুরের ঘোষপাড়া তে। জেরায় তারা অপরাধের কথা কবুল করেছে। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন জয়েন্ট সিপি ক্রাইম।

গ্রেফতার মৃতার দুই মাসতুতো ভাই। ধৃতদের বাড়ি মহেশতলায়। জেরায় অপরাধ কবুল করেছে ধৃতরা। ধৃতদের অনেক টাকা ধার হয়ে গিয়েছিল। মৃতের পরিবারের কাছে অনেক টাকা, গয়না ঘরে ছিল এমনই ধারণা ছিল ধৃতদের। পরিকল্পনা করেই বাড়িতে গিয়েছিল ধৃতরা। ধৃতরা জানত, ওই সময়ে তাদের দিদি সুস্মিতা মন্ডল একা থাকত। মাকে খুনের সময় ছেলে তমজিৎ মন্ডল দেখে ফেলে, সেইজন্যই ছেলেকে খুন। জানালেন জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলিধর শর্মা।
ধৃত সন্দীপ দাস ও অন্যজন সঞ্জয় দাস কে আগামীকাল আলিপুর আদালতে তোলা হবে।